আপনি কি জানেন আপনার আদর্শ, অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব লিওনেল মেসি একজন
ইসলামের প্রকাশ্য শত্রু ও দাজ্জালের প্রমোটার ! তার হাতের ১ চোখ সাইন টা কি
দেখতে পাচ্ছেন ? এই ১ চোখের রহস্য কি জানেন ? এই সাইন কাদের, কারা এটি বহন
করে এবং কি জন্য বহন করে ? এসব জানতে হলে আগে আপনাকে (ই লু মি না তি) ও
(ফ্রি মে শ ন) সম্পর্কে জানতে হবে । কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে শব্দ দু’টিকে ভেঙ্গে লিখলাম । কারণ এই ই হু দি র তৈরী ফেসবুকে তাদের বিরুদ্ধে লিখলে আইডি টেম্পোরারি ব্লক করে দেয় ।
যাই হোক এই দুটি সংগঠন টোট্যালী দাজ্জালের দ্বারা পরিচালিত , যা তার আগমনকে
সহজ করার জন্য যাতে বিশ্ব ব্যবস্থা নতুন করে সাজানো হয় তার জন্য তারা কাজ করে ।
আর যাই হোক এই দাজ্জাল কে সেটা তো আর নতুন করে বোঝাতে হবে না ।
তারা তাদের সাইন সিম্বলগুলো এমন ভাবে মানুষের মাঝে প্রচার করছে যেন কঠিন
মুহুর্তে মুসলমানরাও এর ধোকায় পড়ে এবং দাজ্জালের বিরুদ্ধে যেন কোন খারাপ প্রতিক্রিয়া দেখাতে না পারে সেজন্য তারা এসব প্রচারে উঠে পড়ে লেগেছে ।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এই দুটি সংগঠনের দ্বারাই মুসলমানদের প্রথম কিবলা
মসজিদুল আকসা বা জেরুজালেমের বায়তুল মুকাদ্দাস ভেঙে থার্ট টেম্পল নির্মান করবে
ই হু দি বাদী এই সংগঠন দুটি । যেখানে বসে দাজ্জাল পুরো পৃথিবী শাষণ করবে ।
আচ্ছা এবার নিজেকে প্রশ্ন করুন তো সর্বকালের সেরা মানুষ মুহাম্মদ সা. এর চরিত্র
যাদের আদর্শ তারা কি কখনও ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রু দাজ্জাল ও তার দোষরদের চরিত্রকে কখনও প্রিয় বা অনুসরণীয় ভাবতে পারে ?
কে এই লিওনেল মেসি?
দীর্ঘ ৯ বছর বিয়ে না করে এক সঙ্গে থেকে দুটো বাচ্চা জন্ম দিয়েছিলেন অবশেষে ২০১৭ সালে বিয়ে করা ব্যক্তিটিই হলো লাখো লাখো মুসলমান দের ভালবাসার প্রিয় ব্যক্তিত্ব লিওনেল মেসি যিনি একজন স্বীকৃত কাফেরও বটে। তারপরও কি ভালোবাসা রাতের
ঘুম নষ্ট করে তার নামে মিছিল করাটা যেন খুব জরুরি কিছু সংখ্যক মুসলমানদের
জন্য একজন কাফের ব্যক্তিকে অনুসরন করা কতটা ইসলামসম্মত?
অধিকাংশ মুসলিম যুবককে যখন জিজ্ঞেস করা হয় যে,তোমার প্রিয় ব্যক্তি কে? তখন
সে অনায়াসে বলে ফেলে লিওনেল মেসি নেইমার বা রোনালদো!!
অথচ অনুসরণীয় ব্যক্তি, তাজেদারে মদিনা হযরত মুহাম্মদ স. যিনি বিশ্ববাসীর জন্য
রহমত হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন,মানবতার মুক্তির জন্য সর্বদা উম্মতের ফিকিরে
থাকতেন , জাহান্নামের অগ্নিশিখা থেকে উম্মতকে বাচানোর জন্য সর্বদা চেষ্টা করতেন,কেয়ামতের ময়দানে উম্মাতি উম্মতি বলে যিনি চিৎকার করবেন তার নাম
মুখে উচ্চারণ করতে এই বোকাদের লজ্জা লাগে!!
আহঃ মুসলমানদের মস্তিষ্ক, মেধা আজ পশ্চিমা সভ্যতা, সংস্কৃতি দ্বারা বিকৃত হয়ে গেছে। যার ফলে কাকে মহব্বত করে, কি জন্য মহব্বত করে,দুনিয়া বা আখেরাতে এর কোন ফায়দা আছে কি না এর কোন খবরেই নেই।
হযরত আনাস ইবনে মালেক রাযি. থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সা.-কে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! কিয়ামত কবে ঘটবে?’ তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি এর জন্য কি প্রস্তুতি নিয়েছ?’’ সে বলল, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের ভালবাসা।’ তিনি বললেন, তুমি যাকে ভালবাস, তারই সাথী হবে।’’ উভয়ের অন্য এক বর্ণনায় আছে, আমি বেশি নামাজ-রোযা ও সাদকাহর মাধ্যমে প্রস্তুতি নিতে পারিনি। কিন্তু আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালবাসি। (তিনি বললেন, তুমি যাকে ভালবাস, তারই সাথী হবে।)’’ [বুখারি ৩৬৮৮, ৬১৬৭, ৬১৭১, ৭১৫৩, মুসলিম ২৬৩৯, তিরমিযি ২৩৮৫, ২৩৮৬, নাসায়ি ৫১২৭,]
সবশেষে এই পোষ্ট যাদের মাথায় কিছু ঢুকবে না তারা অযথা বিতর্ক না করে একজন মুসলমান হিসেবে – এক চোখ সাইন, ই লু মি না তি , ফ্রি মে শ ন এই তিনটি শব্দ গুগল বা ইউটিউবে সার্চ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিবেন।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝার এবং আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।