রাসূল গণের দায়িত্ব:
রাসূল-দের প্রতি ঈমান চারটি বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে:
রাসূল ভিন্ন হলেও মিশন অভিন্ন:
কিন্তু অবশ্য পালনীয় আমল (ফরজ) ও আইন-কানুন এক রাসূল থেকে অন্য রাসূলেরটা ভিন্ন হতে পারে। এক রাসূলের
উম্মতের উপর যে নামায-রোজা ফরজ করা হয়েছে অন্য রাসূলের উম্মতের উপরে সেসব হয়তো ফরজ করা হয়নি। এক
রাসূলের উম্মতের উপরে যে বিষয়গুলো হারাম করা হয়েছে অন্য রাসূলের উম্মতের জন্য সেসব বিষয় হয়তো হালাল করা
হয়েছে- আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষাস্বরূপ। আল্লাহ বলেন, “আমি তোমাদের প্রত্যেককে একটি শিরআ ও মিনহাজ (আইন
ও পথ) দিয়েছি।”[সূরা মায়েদা, আয়াত: ৪৮] ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, অর্থাৎ- পথ ও আদর্শ (দিয়েছি)। সহিহ বুখারী ও
সহিহ মুসলিমে আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল সা. বলেন: “নবীরা হচ্ছেন- বৈমাত্রেয় ভাইয়ের মত।
তাদের মা আলাদা আলাদা; কিন্তু ধর্ম অভিন্ন।” অর্থাৎ সকল নবীর মূল ধর্মবিশ্বাস এক। সেটা হচ্ছে- তাওহীদ। যে তাওহীদ
দিয়ে আল্লাহ সকল রাসূলকে প্রেরণ করেছেন এবং সকল কিতাবে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু আদেশ-নিষেধ বা হালাল-হারামের ক্ষেত্রে প্রত্যেক রাসূলের শরিয়ত ভিন্ন ভিন্ন। কারণ বৈমাত্রেয় ভাইদের পিতা এক, কিন্তু মা ভিন্ন হয়ে থাকে। -যে ব্যক্তি কোন একজন রাসূলের রাসূলত্বকে অস্বীকার করল সে যেন সকল রাসূলকে অস্বীকার করল।
অন্যান্য নবী ও রাসূল-দের উপর আমাদের নবীর আলাদা বিশেষত্ব:
রাসূল গণের প্রতি ঈমান আনার বেশ কিছু ফলাফল রয়েছে:
এখন নবী ও রাসূলগণের প্রতি ঈমানের বিষয়টি কেমন হবে?