রাসূল গণের প্রতি ঈমান আনা।

ফেরেশতা ও কিতাবের প্রতি ঈমানের অপরিহার্য দাবি হয়ে যায় নবুয়ত বা রিসালাতের প্রতি ঈমান আনা। পৃথিবীতে মানুষ আল্লাহর প্রিয় সৃষ্টি। বহুমুখী দায়িত্ব ও কর্তব্য দেয়া হয়েছে মানুষের ওপর। কেননা মর্যাদার দিক দিয়ে মানুষই সেরা এবং
তাকে আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। পৃথিবীতে এই দায়িত্ব পালন শেষে মানুষ ফিরে যাবে তাদের পালনকর্তার কাছে। যারা এ দায়িত্ব পালনে সফল, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। আর যারা ব্যর্থ তাদের জন্যও রয়েছে অবর্ণনীয় শাস্তি।
দোজখের সেই ভয়াবহতম শাস্তির মাঝেই থাকতে হবে চিরকাল-অন্তহীন সেই জীবন। এই সফলতা ও ব্যর্থতার মাপকাঠি
কী সে কথাগুলোই আল্লাহ তাঁর কিতাবে খুবই স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন। ঘটনা এ পর্যন্তই শেষ হতে পারত। আল্লাহ ফেরেশতাদের মাধ্যমে তাঁর কিতাব কোনো নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দিয়ে মানুষকে জানিয়ে দিতে পারতেন যে, কিতাব অমুক
স্থানে আছে তোমরা সে কিতাব মেনে চলো এবং মেনে চললে শান্তি এবং পুরস্কার আর না মানলেই আজাব ও ধ্বংস।
কিন্তু আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে বাছাই করে কিছু মানুষের কাছে এই কিতাব পাঠিয়েছেন এবং আসমানি কিতাবের নির্দেশনা
গুলো কেমন করে অনুশীলন বা জীবনে বাস্তবায়ন করতে হবে তা হাতে-কলমে দেখিয়ে দেয়ার দায়িত্বও তাঁদের ওপর দিয়েছেন।
এরাই হচ্ছেন নবী-রাসূল বা পয়গম্বর। এই মহান মানুষরা অন্যান্য মানষের মতোই রক্ত-মাংসে গড়া ছিলেন এবং সাধারণ
মানুষের মতো তারা আহার নিদ্রায় অভ্যস্থ ছিলেন। তাঁরা হাটে বাজারে যেতেন, বিয়ে ও সংসারধর্ম করেছেন। কিন্তু এর পরও
তাঁরা ছিলেন মানব জাতির মধ্যে শ্রেষ্ঠতম। তাঁরা আল্লাহ কর্তৃক নির্বাচিত, আল্লাহ কর্তৃক প্রশিক্ষিত গোটা মানবজাতির জন্য সর্বোত্তম নমুনা বা আদর্শ। আল্লাহ প্রদত্ত ওহির নির্দেশনা তাঁরা অক্ষরে অক্ষরে নিজেদের জীবনে পালন করে মানবজাতিকে দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন করতে হয়। এই মহামানবরা ছিলেন নিষ্পাপ, ত্রুটিহীন এবং নিষ্কলঙ্ক। তাদের জীবনে স্ববিরোধিতা, অন্যায় ও অসত্যের কাছে নতি স্বীকার এগুলো ছিল না। এদের সংখ্যা ছিল অজস্র। এই
নবী-রাসূলদের প্রতি তাদের উল্লিখিত দায়িত্ব ও গুণাবলিসহ বিশ্বাস স্থাপন করা ঈমানের অপরিহার্য শর্ত। কুরআন মাজিদে সরাসরি নাম পাওয়া যায় এমন নবী-রাসূলের সংখ্যা হচ্ছে ২৫ জন।

রাসূল গণের দায়িত্ব:

দুনিয়ায় আগমনকারী প্রথম মানুষটি যেমন প্রথম মানুষ তেমনি প্রথম নবীও। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ তথা গোটা মানব
জীবন কিভাবে পরিচালিত হওয়া দরকার, কোন পথ শান্তি ও সমৃদ্ধির, কোন পথ উন্নতি ও প্রগতির এবং কোন পথ বিভ্রান্তি ও গোমরাহির সে জ্ঞান নিয়েই তিনি এসেছিলেন এবং এই সাথে জীবনের নানা সময়ে নানামুখী সমস্যায় কিভাবে চলতে হবে,
কোন কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ক্ষমা এগুলো সময়ে সময়ে আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রতি ওহি নাজিল করেছেন। তিনি তাঁর দায়িত্ব
শেষ করে চলে যাওয়ার পর তাঁর সন্তানরা নবুয়াতের সেই রাজপথ ধরে জীবন পরিচালনা করেছেন। এরপর ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি এসেছে, মানুষ তার নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী জীবনযাপনের মধ্যেই তৃপ্তি খোঁজার চেষ্টা করেছে; আল্লাহ প্রদত্ত এবং নবী প্রদর্শিত পথ এভাবে একসময় বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে গেছে। মানুষ পুরোপুরি গোমরাহ বা পথভ্রষ্ট হয়ে পড়েছে এবং
মানব জীবন অন্যায়, অনাচার, জুলুম, নিপীড়নে ছেয়ে গেছে। এ অবস্থায় আল্লাহ আবার একজনকে নবী হিসেবে বাছাই করেছেন, মানুষকে পথের সন্ধান দেয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন এবং এ কাজ কিভাবে করতে হবে, হেদায়াতের পথ কী হবে, সে
সম্পর্কে পথনির্দেশনা দিয়েছেন।
এভাবে যখনই দুনিয়ার মানুষ সঠিক পথ ভুলে চরম গোমরাহির অন্ধকারে ডুবে গেছে, তখন পর্যায়ক্রমে আবার হেদায়াতের আলো নিয়ে আরেকজন নবী এসেছেন। এই ধারাবাহিকতার সমাপ্তি ঘটেছে নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা:-এর মাধ্যমে।
একই সাথে আসমানি কিতাব অবতীর্ণ হওয়াও বন্ধ হয়ে গেছে। দুনিয়ার শেষ দিন পর্যন্ত মানবজাতিকে পথ দেখানোর জন্য মুহাম্মদ সা:-এর ওপর নাজিলকৃত আল কুরআন যথেষ্ট বলেই আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন। সুতরাং কিতাবের প্রতি ঈমান
আনলেই রাসূলের প্রতি ঈমান আনতে হবে। আবার রাসূলের প্রতি ঈমান আনার সাথে ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান আনা
জরুরি। এই তিনটি বিষয় একটি আরেকটির সাথে সম্পর্কিত।

রাসূল-দের প্রতি ঈমান চারটি বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে:
এক: সুদৃঢ়ভাবে এই বিশ্বাস পোষণ করা যে, আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক কওমের জন্য তাদের মধ্য হতে একজনকে রাসূল
করে পাঠিয়েছেন। যিনি তাদেরকে এক আল্লাহর ইবাদত করার এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য সব কিছুর ইবাদতকে অস্বীকার
করার দাওয়াত দেন। সকল রাসূল সত্যবাদী, সত্যায়নকারী, পুণ্যবান, সঠিক পথের দিশারী, তাকওয়াবান ও বিশ্বস্ত। আল্লাহ তাঁদেরকে যা কিছু দিয়ে প্রেরণ করেছেন তারা তা পরিপূর্ণভাবে পৌঁছিয়ে দিয়েছেন। কোন অংশ গোপন করেননি বা
পরিবর্তন করেননি। নিজে থেকে কোন সংযোজন বা বিয়োজন করেননি। “রাসূলগণের দায়িত্ব তো শুধুমাত্র সুস্পষ্ট বাণী
পৌছিয়ে দেয়া।”[সূরা নাহল, আয়াত: ৩৫]
এই বিশ্বাস পোষণ করা যে, প্রথম রাসূল হতে শেষ রাসূল পর্যন্ত সকলের দাওয়াতের মূল বিষয় ছিল একটাই, যাবতীয় ইবাদত  শুধুমাত্র এক আল্লাহর জন্য পালন করা এবং অন্য সব উপাস্যকে অস্বীকার করা। আল্লাহর বাণী- “আপনার পূর্বে আমি যে
রাসূলই প্রেরণ করেছি, তাকে এ আদেশই করেছি যে- নেই কোন উপাস্য আমি ব্যতীত; সুতরাং আমারই এবাদত কর।”[সূরা আম্বিয়া, আয়াত: ২৫] এবং তাঁর বাণী “আপনার পূর্বে আমি যেসব রসূল প্রেরণ করেছি, তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, দয়াময়
আল্লাহ ব্যতীত আমি কি কোন উপাস্য স্থির করেছিলাম এবাদতের জন্যে?”[সূরা যুখরূফ, আয়াত: ৪৫]। এগুলো ছাড়াও
আরো অনেক আয়াত রয়েছে।

রাসূল ভিন্ন হলেও মিশন অভিন্ন:

কিন্তু অবশ্য পালনীয় আমল (ফরজ) ও আইন-কানুন এক রাসূল থেকে অন্য রাসূলেরটা ভিন্ন হতে পারে। এক রাসূলের
উম্মতের উপর যে নামায-রোজা ফরজ করা হয়েছে অন্য রাসূলের উম্মতের উপরে সেসব হয়তো ফরজ করা হয়নি। এক
রাসূলের উম্মতের উপরে যে বিষয়গুলো হারাম করা হয়েছে অন্য রাসূলের উম্মতের জন্য সেসব বিষয় হয়তো হালাল করা
হয়েছে- আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষাস্বরূপ। আল্লাহ বলেন, “আমি তোমাদের প্রত্যেককে একটি শিরআ ও মিনহাজ (আইন
ও পথ) দিয়েছি।”[সূরা মায়েদা, আয়াত: ৪৮] ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, অর্থাৎ- পথ ও আদর্শ (দিয়েছি)। সহিহ বুখারী ও
সহিহ মুসলিমে আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল সা. বলেন: “নবীরা হচ্ছেন- বৈমাত্রেয় ভাইয়ের মত।
তাদের মা আলাদা আলাদা; কিন্তু ধর্ম অভিন্ন।” অর্থাৎ সকল নবীর মূল ধর্মবিশ্বাস এক। সেটা হচ্ছে- তাওহীদ। যে তাওহীদ
দিয়ে আল্লাহ সকল রাসূলকে প্রেরণ করেছেন এবং সকল কিতাবে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু আদেশ-নিষেধ বা হালাল-হারামের ক্ষেত্রে প্রত্যেক রাসূলের শরিয়ত ভিন্ন ভিন্ন। কারণ বৈমাত্রেয় ভাইদের পিতা এক, কিন্তু মা ভিন্ন হয়ে থাকে। -যে ব্যক্তি কোন একজন রাসূলের রাসূলত্বকে অস্বীকার করল সে যেন সকল রাসূলকে অস্বীকার করল।

দুই: রাসূলদের মধ্যে যাদের নাম আমরা জানতে পেরেছি আর যাদের নাম জানা যায়নি তাদের প্রতি এজমালিভাবে ঈমান
আনা। কুরআনে এসেছে- “রসূল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্ত বিষয়ের উপর যা তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর কাছে
অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমূহের প্রতি
এবং তাঁর পয়গম্বরগণের প্রতি। তারা বলে আমরা তাঁর পয়গম্বরদের মধ্যে কোন তারতম্য করিনা। তারা বলে, আমরা শুনেছি
এবং কবুল করেছি। আমরা তোমার ক্ষমা চাই, হে আমাদের পালনকর্তা। তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।”[সূরা
বাকারা, আয়াত: ২৮৫] আমরা আরও ঈমান রাখি যে, সর্বশেষ রাসূল হচ্ছেন- আমাদের নবী মুহাম্মদ সা.। তাঁর পরে আর
কোন নবী নেই। আল্লাহ বলেন: “মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী।
আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।” [সূরা আহযাব, আয়াত: ৪০]
অন্যান্য নবী ও রাসূল-দের উপর আমাদের নবীর আলাদা বিশেষত্ব:
১) আল্লাহ তাআলা তাঁকে সমস্ত জিন ও ইনসান এর নবী হিসেবে পাঠিয়েছেন। অথচ পূর্ববর্তীনবীগণ শুধু তাঁদের কওমের
নিকট প্রেরিত হত। (২) একমাসের সম পরিমাণ দূরত্বে অবস্থানরত শত্রুর অন্তরে ভয়ের সঞ্চার করার মাধ্যমে আল্লাহ
তাঁকে সাহায্য করতেন। (৩) সমস্ত জমিনকে তাঁর জন্য সিজদার স্থান ও পবিত্র করা হয়েছে। ৪. তাঁর জন্য গণিমতের মাল
খাওয়া হালাল করা হয়েছে; অথচ তাঁর পূর্বে কারো জন্য তা হালাল ছিল না। ৫. মহা শাফায়াত। এগুলো ছাড়াও আরো
অনেক বিশেষত্ব আল্লাহ তাঁকে দান করেছেন।
তিন: সত্য সংবাদের ভিত্তিতে তাদের ব্যাপারে যা কিছু জানা যায় সেগুলোর প্রতি ঈমান রাখা।
চার: আমাদের নিকট যে রাসূল প্রেরিত হয়েছেন তাঁর শরিয়তের আলোকে আমল করা। তিনি হচ্ছেন সর্বশেষ নবী
মুহাম্মদ সা.। যিনি সকল মানুষের কাছে প্রেরিত হয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন: “অতএব, তোমার পালনকর্তার কসম,
সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে ন্যায়বিচারক বলে মনে না করে।
অতঃপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোন রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা হৃষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে।”
[সূরা নিসা, আয়াত: ৬৫]
রাসূল গণের প্রতি ঈমান আনার বেশ কিছু ফলাফল রয়েছে: 
যেমন- ১. বান্দার প্রতি আল্লাহর রহমত ও গুরুত্বের বিষয়টি উপলব্ধি করা। যেহেতু বান্দাকে সরল-সঠিক পথের
দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য এবং ইবাদতের পদ্ধতি বর্ণনা করার জন্য আল্লাহ রাসূল পাঠিয়েছেন। এককভাবে মানব-মস্তিষ্কের পক্ষে যা উদঘাটন করা সম্ভবপর ছিল না। ২. এই নেয়ামতের জন্য আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। ৩. রাসূলগণকে ভালোবাসা, তাঁদেরকে সম্মান করা, যথোপযুক্ত পদ্ধতিতে তাঁদের প্রশংসা করা। যেহেতু তাঁরা আল্লাহর রাসূল, তাঁরা তাঁর
ইবাদত করেছেন, তাঁদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন এবং উম্মতকে সৎ পরামর্শ দিয়েছেন।

এখন নবী ও রাসূলগণের প্রতি ঈমানের বিষয়টি কেমন হবে?

ঈমানের দাবি হচ্ছে সব নবী-রাসূলের প্রতিই বিশ্বাস স্থাপন করা। আল্লাহর পরিষ্কার ঘোষণা হলো নবীদের মধ্যে কোনো
পার্থক্য সৃষ্টি করা যাবে না। নবী-রাসূলগণ আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত এবং আল্লাহ তায়ালার নির্দেশনা মাফিক মানবজাতির হেদায়াতের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছেন এ বিষয়ে তাঁদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্র , সময় ও
পরিধি বিবেচনায় আল্লাহ কোনো কোনো নবী-রাসূলের মর্যাদা বেশি দিয়েছেন।
নবী-রাসূলদের প্রতি ঈমানের এই প্রসঙ্গে একটি প্রশ্ন কেউ কেউ উত্থাপন করতে পারে যে, সব নবী-রাসূলই তো আল্লাহ
মনোনীত এবং তাঁদের কাছে পাঠানো কিতাবসমূহ আল্লাহর পক্ষ থেকেই নাজিল হয়েছে। এখন আমরা কোন নবীর অনুসরণ করব? এদের যে কোনো একজনকে অনুসরণ করলেই কি চলবে? আমরা সরকারি বিধানের বিষয়ে জানি যে, একই কর্তৃপক্ষ বিধিবিধান জারি করলেও মেনে চলতে হয় সর্বশেষ জারিকৃত বিধান; কেননা সর্বশেষ বিধান জারি হওয়া মানেই আগের
বিধান বা নিয়ম বাতিল হয়ে যাওয়া। তেমনি আল্লাহর পক্ষ থেকে সর্বশেষ নাজিলকৃত কিতাবও পূর্ববর্তী বিধানকে বাতিল
করে দেয়। সুতরাং কিতাবের মতোই সর্বশেষ নবী বা রাসূলকে মেনে চলা আবশ্যক, কারণ তাঁর মাধ্যমেই আমাদের কাছে
কিতাব এসেছে এবং এই কিতাবের বিধিবিধান জীবনে বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে তিনিই আমাদের সামনে মডেল। এটি কোনো পক্ষপাত বা ভাবাবেগের কথা নয় , যুক্তি-বুদ্ধি ও জ্ঞানের দাবি এটাই।