বিবাহের মাধ্যমে পরিবারের সূত্রপাত হয়। এছাড়া বিবাহের মাধ্যমে বংশবিস্তার ও উত্তরাধিকারের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
বিবাহের মাধ্যমে পরস্পর সম্পর্কিত পুরুষকে স্বামী (পতি) এবং নারীকে স্ত্রী (পত্নী) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।
স্বামী ও স্ত্রীর যুক্ত জীবনকে “দাম্পত্য জীবন” হিসাবে অভিহিত করা হয়।
মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করার সাথে সাথে তার জীবন ধারণের জন্য কিছু চাহিদা দিয়েছেন এবং চাহিদা মিটানোর
পদ্ধতিও বলে দিয়েছেন। মানব জীবনে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ন্যায় জৈবিক চাহিদাও গুরুত্বপূর্ণ।
এই চাহিদা পূরণের জন্য ইসলাম বিবাহের বিধান দিয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা পৃথিবীর প্রথম মানুষ আদম
(আঃ)-কে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন। পরবর্তী বংশ বৃদ্ধির জন্য হাওয়া (আঃ)-কে সৃষ্টি করে আদম (আঃ)-এর সাথে
বিবাহের ব্যবস্থা করেন। মানব জীবন প্রণালী পরিবর্তনের সাথে সাথে বিবাহের নিয়মেও পরিবর্তন ঘটেছে।
অবশেষে শেষ নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) জাহেলী যুগের সকল কুসংস্কার দূর করে নারীদেরকে বিবাহের মাধ্যমে মর্যাদা দান করেছেন। কিন্তু কালের বিবর্তনে বাংলাদেশের মুসলমানগণ বিবাহের ইসলামী পদ্ধতি ভুলে অনেকটা বিধর্মীদের রসম-রেওয়াজের সাথে মিশে গেছে। আলোচ্য প্রবন্ধে বিবাহের গুরুত্ব ও নিয়ম-পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা পেশ করা হল-
বিবাহের গুরুত্ব :
আল্লাহ তাবারাকা ওতা‘আলা পৃথিবীর সবকিছু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন (যারিয়াত ৫১/৪৯)।
এমনকি লতা-পাতা, গাছ-পালাও (ইয়াসীন ৩৬/৩৬)। তেমনি আল্লাহ মানুষকে নারী-পুরুষে বিভক্ত করেছেন
(হুজুরাত ৪৯/১৩, নিসা ৪/১) এবং একে অপরের প্রতি আকর্ষণীয় করে দিয়েছেন। ইসলামে নারী-পুরুষের মধ্যে
সম্পর্ক স্থাপন, বসবাস ও জৈবিক চাহিদা পূরণের একমাত্র পন্থা হিসাবে বিবাহের প্রচলন করা হয়েছে। এজন্য
প্রত্যেক অভিভাবককে তাদের অধীনস্থদের বিবাহের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে
যারা স্বামীহীন তাদের বিবাহ সম্পাদন কর এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎ তাদেরও’ (নূর ২৪/৩২)।
বিবাহের মাধ্যমে মানুষ তার দৃষ্টিকে সংযত করে যৌনাঙ্গের পবিত্রতা রক্ষার মাধ্যমে জান্নাতের পথ সুগম করতে সক্ষম হয়। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘হে যুবসমাজ! তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহের সামর্থ্য রাখে, তাদের বিবাহ করা কর্তব্য।
কেননা বিবাহয় দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণকারী, যৌনাঙ্গের পবিত্রতা রক্ষাকারী। আর যার সামর্থ্য নেই সে যেন ছিয়াম পালন করে।
কেননা ছিয়াম হচ্ছে যৌবনকে দমন করার মাধ্যম’। অন্য হাদীছে রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা স্নেহপরায়ণ বেশী
সন্তান জন্ম দানকারিণীকে বিবাহ কর। কেননা আমি বেশী উম্মত নিয়ে (ক্বিয়ামতের দিন) গর্ব করব’।
বিবাহ করা সমস্ত নবীদের সুন্নাত:
‘তোমার পূর্বে আমরা অনেক রাসূল প্রেরণ করেছিলাম এবং তাদেরকে স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দিয়েছিলাম’ (রা‘দ ১৩/৩৮)।
রাসূল (ছাঃ)-এর স্ত্রীদের নিকট আগত তিন ব্যক্তির এক ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদত করার স্বার্থে বিবাহ না করার সিদ্ধান্তের
প্রতিবাদে রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আমি নারীদেরকে বিবাহ করি (সুতরাং বিবাহ করা আমার সুন্নাত)। অতএব যে আমার
সুন্নাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে সে আমার দলভুক্ত নয়’
বিবাহ না করে চিরকুমার ও নিঃসঙ্গ জীবন যাপনের অনুমতি ইসলামে নেই। সা‘আদ ইবনু আবী ওয়াক্কাছ (রাঃ) বলেন,
‘রাসূল (ছাঃ) ওছমান ইবনু মাযঊনকে নিঃসঙ্গ জীবন যাপনের অনুমতি দেননি। তাকে অনুমতি দিলে আমরা নির্বীর্য
হয়ে যেতাম’। আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাসূল (ছাঃ) নিঃসঙ্গ জীবন যাপনকে নিষেধ করেছেন’।
স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে বিবাহ না করার অনেক অপকারিতা রয়েছে। প্রখ্যাত চিকিৎসাবিদ আল্লামা নাফীসী বলেছেন,
‘শুক্র প্রবল হয়ে পড়লে অনেক সময় তা অত্যন্ত বিষাক্ত প্রকৃতি ধারণ করে। মন ও মগজের দিকে তা এক প্রকার
অত্যন্ত খারাপ বিষাক্ত বাষ্প উত্থিত করে, যার ফলে বেহুঁশ হয়ে পড়া বা মৃগী রোগ প্রভৃতি ধরনের ব্যাধি সৃষ্টি হয়’।
শাহ্ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী স্বীয় বিখ্যাত গ্রন্থ হুজ্জতুল্লাহিল বালিগাহতে বলেছেন, ‘জেনে রাখ, শুক্রের প্রজনন
ক্ষমতা যখন দেহে খুব বেশী হয়ে যায়, তখন তা বের হতে না পারলে মগজে তার বাষ্প উত্থিত হয়’।
বিবাহের মাধ্যমে বংশের ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়:
মানুষ তার জৈবিক চাহিদা বিবাহ ব্যতীতও মিটাতে পারে; কিন্তু ইসলামে তা অবৈধ, হারাম। পক্ষান্তরে বিবাহের ব্যবস্থা
না থাকলে বংশীয় ধারা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। মানুষের পরিচয় বিলীন হয়ে যাবে, একে অপরের প্রতি দয়া-মায়া কমে যাবে,
বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে মারা যাবে। অনেকে দরিদ্র হওয়ার কারণে স্ত্রী-সন্তান লালন-পালন না করতে
পারার ভয়ে বিবাহ করে না। অথচ আল্লাহ বিবাহের কারণে দরিদ্রকে সম্পদশালী করে থাকেন। আল্লাহ বলেন,
‘যদি তারা দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহ তাদেরকে স্বীয় অনুগ্রহে সম্পদশালী করে দিবেন’ (নূর ২৪/৩২)।
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তিন শ্রেণীর লোকের উপর আল্লাহর সাহায্য অপরিহার্য হয়ে
পড়ে- (১) যে দাস নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আদায় করে দাসত্ব থেকে মুক্তি পেতে চায়। (২) যে লোক বিবাহ করে নিজের
নৈতিক পবিত্রতা রক্ষা করতে চায়। (৩) যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদে যেতে চায়’। স্বামী-স্ত্রীর বিবাহের বন্ধন আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম নিদর্শন। আল্লাহ বলেন, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের
জন্য তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গিণীদের সৃষ্টি করেছেন। যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং
তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া দান করেন’ (রূম ৩০/২১)। বিবাহের মাধ্যমেই সতীত্ব ও চারিত্রিক
পবিত্রতা রক্ষা করা যায়। আল্লাহ বলেন, ‘স্ত্রীরা হচ্ছে তোমাদের জন্য পোষাক স্বরূপ, আর তোমরা তাদের জন্য পোষাক
স্বরূপ’ (বাক্বারাহ ২/১৮৭)। যে সমাজে বিবাহ ব্যতীত অবাধে নারী-পুরুষের মেলামেশা চলে সেখানে পারিবারিক বন্ধন
নষ্ট হয় এবং বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়। পরিশেষে অবৈধ মেলামেশার কারণে পরকালে এরা জাহান্নামের
কঠিন আযাবের সম্মুখীন হবে। বিবাহ করা দ্বীনের পূর্ণতা অর্জনের পরিচায়ক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন কোন ব্যক্তি
বিবাহ করল, তখন সে দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করল’। সুতরাং বিবাহ না করলে ব্যক্তি গোনাহগার না হ’লেও এতে শরী‘আতের
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধানকে অগ্রাহ্য করা হয়।
বিবাহের হুকুম :
অবস্থা ও পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে বিবাহের হুকুম ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন-
১. ওয়াজিব : যার শারীরিক শক্তিমত্তা, সক্ষমতা ও আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে এবং যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ ও পদস্খলনের
আশংকা করে, তার জন্য বিবাহ করা ওয়াজিব। আল্লাহ বলেন, ‘যাদের বিবাহের সামর্থ্য নেই, আল্লাহ তাদেরকে নিজ
অনুগ্রহে অভাবমুক্ত না করা পর্যন্ত তারা যেন সংযম অবলম্বন করে’ (নূর ২৪/৩৩)। কেননা আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং হারাম
থেকে মুক্ত থাকা ওয়াজিব, যা বিবাহ ব্যতীত সম্ভব নয়’ (নূর ৩৩)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘কেননা এটা চোখ অবনমিত
রাখে ও লজ্জাস্থানকে নিয়ন্ত্রণ করে’।
২. মুস্তাহাব : যার শক্তি-সামর্থ্য রয়েছে এবং নিজেকে হারাম কাজে লিপ্ত হওয়া থেকে নিরাপদ রাখার ক্ষমতা আছে,
তার জন্য বিবাহ করা মুস্তাহাব। তবে একাকী জীবন- যাপনের চেয়ে বিবাহ করা উত্তম। কেননা ইসলামে সন্ন্যাসব্রত বা
বৈরাগ্য নেই।
৩. হারাম : যার দৈহিক মিলনের সক্ষমতা ও স্ত্রীর ভরণ-পোষণের সামর্থ্য নেই তার জন্য বিবাহ করা হারাম। (ফিক্বহুস
সুন্নাহ ৩/১৩১)। অনুরূপভাবে যিনি যুদ্ধের ময়দানে বা কাফির-মুশরিক দেশে যুদ্ধরত থাকেন তার জন্য বিবাহ হারাম।
কেননা সেখানে তার পরিবারের নিরাপত্তা থাকে না। তদ্রূপ কোন ব্যক্তির স্ত্রী থাকলে এবং অন্য স্ত্রীর মাঝে ইনছাফ
করতে না পারার আশংকা করলে দ্বিতীয় বিবাহ করা হারাম। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘আর যদি আশংকা কর যে, সুবিচার
করতে পারবে না তবে একজনকে অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীকে’ (নিসা ৪/৩)।
বিবাহের শর্তাবলী ও রুকন :
বিবাহের শর্ত হল চারটি। (১) পরস্পর বিবাহ বৈধ এমন পাত্র-পাত্রী নির্বাচন (২) উভয়ের সম্মতি। (৩) মেয়ের ওলী থাকা।
(৪) দু’জন ন্যায়নিষ্ঠ সাক্ষী থাকা। বিবাহের দু’টি রুকন হল ঈজাব ও কবূল (নিসা ১৯)। উক্ত শর্তাবলীর কোন একটি
পূরণ না হ’লে বিবাহ শুদ্ধ হবে না। উল্লেখ্য যে, যে মেয়ের ওলী নেই, তার ওলী হবেন সরকার।
বিবাহের নিয়ম-পদ্ধতি :
ইসলামের প্রতিটি কাজের সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। বিবাহ তার ব্যতিক্রম নয়। বিবাহের সংক্ষিপ্ত নিয়ম হ’ল- উপযুক্ত
বয়সের ছেলে-মেয়েকে তাদের অভিভাবক বিবাহের প্রস্তাব দিবেন। সম্ভব হ’লে ছেলে-মেয়ে একে অপরকে দেখে তাদের অভিমত জানাবে। উভয়ে একমত হ’লে নির্দিষ্ট দিনে দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে মেয়ের অভিভাবক নির্দিষ্ট মহরের
বিনিময়ে ছেলের সাথে মেয়ের বিবাহের প্রস্তাব দিবেন। ছেলে কবুল বলে গ্রহণ করবে। যাকে আরবীতে ঈজাব ও কবূল
বলা হয়। নিম্নে দলীলসহ বিবাহের বিস্তারিত নিয়ম উল্লেখ করা হল।-
(১) নিয়ত শুদ্ধ করা : বিবাহের আগে বর-কনের উচিত নিয়ত ঠিক করা। নিজেকে খারাপ কাজ থেকে বাঁচানোর
উদ্দেশ্যেই বিবাহ করতে হবে। তাহ’লে উভয়েই ছওয়াব লাভ করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের সবার স্ত্রীর
চাহিদা মেটাবে এবং এজন্য সে নেকী লাভ করবে? তিনি বললেন, তোমাদের কি মনে হয়, যদি সে ঐ চাহিদা হারাম
উপায়ে মেটাতো তাহ’লে তার কোন গুনাহ হত না? (অবশ্যই হ’ত)। অতএব সে যখন তা হালাল উপায়ে মেটায়,
তার জন্য নেকী লেখা হয়’।
(২) পাত্র-পাত্রীর সম্মতি :
বিবাহের মূল হ’ল পাত্র-পাত্রী বা বর-কনে। যারা সারা জীবন একসাথে ঘর-সংসার করবে। সেকারণ বিবাহের পূর্বে তাদের
সম্মতি থাকতে হবে। কোন অবস্থাতেই কোন ছেলে-মেয়েকে তার অসম্মতিতে বিবাহ করতে বাধ্য উচিত নয়।
আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্য বৈধ নয় যে, তোমরা বলপূর্বক নারীদের উত্তরাধিকারী হবে’ (নিসা ৪/১৯)।
নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ‘বিবাহিতা মেয়েকে তার পরামর্শ ছাড়া বিবাহ দেয়া যাবে না এবং কুমারী মেয়েকে তার অনুমতি
ছাড়া বিবাহ দেয়া যাবে না। ছাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, তার অনুমতি কিভাবে হবে? উত্তরে তিনি বললেন,
‘চুপ থাকাই হচ্ছে তার অনুমতি’। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, ‘যুবতী-কুমারী মেয়ের বিবাহের ব্যাপারে পিতাকে
তার অনুমতি নিতে হবে। আর তার অনুমতি হচ্ছে চুপ থাকা’। কুমারী মেয়ে বিবাহের প্রস্তাব শুনার পর চুপ থাকলে তার
সম্মতি আছে বলে ধরে নিতে হবে। কিন্তু বিধবা মহিলার ক্ষেত্রে সরাসরি সম্মতি নিতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,
‘বিধবা মেয়েরা নিজেদের ব্যাপারে ওলীর থেকে অধিক হকদার’। এছাড়াও কোন মেয়েকে অভিভাবক তার অনুমতি
ছাড়া বিবাহ দিলে সে ইচ্ছা করলে বিবাহ বহাল রাখতে পারে, ইচ্ছা করলে বিবাহ ভঙ্গ করতে পারে’।
(৩) অভিভাবকের সম্মতি : ছেলে-মেয়ের সম্মতির পাশাপাশি অভিভাবকের সম্মতিরও প্রয়োজন রয়েছে।
বিশেষ করে মেয়ের ক্ষেত্রে অভিভাবকের অনুমতি যরূরী। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, ‘অভিভাবক ছাড়া কোন বিবাহ নেই’।
[চলবে]