কওমী মাদরাসা মুসলিম উম্মাহর জন্য এক বিশেষ নিয়ামত। ১৮৬৬ সালে বর্তমান
দুনিয়ার প্রধান দ্বীনি ইলমের মারকাজ দারুল উলুম দেওবন্দের প্রতিষ্টিত হয়।
তৎকালিন হক্বানী উলামায়ে কেরামদের গভীর চিন্তার ফল এটি। আজ সারা দুনিয়া
তাদের কাছে ঋণি।আল্লাহএসকল হযরাতগণের মাকাম আরো উচু করুন। এই
দেওবন্দের সূর্য সন্তান আল্লামা ইলিয়াস কান্ধলভী রহঃ। তিনি গোটা মুসলিম উম্মাহর
জন্য ফিকিরে মগ্ন থাকতেন। আমি মনে করি এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে ইলহাম করা হয়েছে। তিনি উম্মাহর কাছে দ্বীনের দাওয়াত পৌছে দেয়ার জন্য এক বিশেষ মিশন
শুরু করেন। এটি পুরো দুনিয়ায় তাবলীগ জামায়াত নামে পরিচিত। আল্লাহ হযরতের মেহনতকে কবুল করেছেন।দুনিয়ার ২২২টি দেশের মধ্যে ২১০ টিতেই এমেহনত
চলতে আছে। বর্তমানে তাবলীগের প্রধান মারকাজ নেজামুদ্দীনে কোন একজন
ব্যক্তিকে নিয়ে মতানৈক্য তৈরী হয়েছে।হযরতের সাথে কারো কোন ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব নেই। কোন হিংসা বিদ্বেষ নেই। শুধু দ্বীনের স্বার্থে উনার কিছু বক্তব্য নিয়ে এমতবিরোধ তৈরী হয়েছে। আমরা দোয়া করি আল্লাহ এই হযরতকে দ্বীনের সহীহ সমুঝ দান করেন এবং দ্বীনের এবিশাল খেদমতকে ফিৎনার হাত থেকে রক্ষা করেন। কওমী মাদরাসার
অহংকার মাওঃ ফরিদ উদ্দিন মাসউদ সাহেব। আমি ব্যক্তিগত ভাবে হযরতকে শ্রদ্ধা
করি একজন বিদগ্ধ আলেম হিসাবে। কারণ আজ পর্যন্ত উনার ইলম নিয়ে কারো কোন ইখতিলাফ নেই। আল্লাহ হযরতের ইলমকে উম্মাহর জন্য ফায়দামন্দ করুন। উনার
সিয়াসী কিছু কর্মকান্ড নিয়ে ইখতিলাফ রয়েছে। আমিও একজন উনার সিয়াসতকে
ভালো দৃষ্টিতে দেখিনা। বড়দের তো অনেক সময় পা পিছলে যেতে পারে তার জন্য
তো সব সময় উনাদেরকে নেতিবাচক ভাবে দেখার সুযোগ নেই। আমি সব সময় বলি
মাওঃ ফরিদ উদ্দিন মাসউদ সাহেব কওমী ঘরানার সন্তান। তাকে নিয়ে কারো মাথা
ব্যথার দরকার নেই।যে সিয়াসতের জন্য আজ তিনি এতটা বিতর্কিত, আমরা আশাবাদী তিনি এসব সিয়াসত থেকে একদিন ফিরে আসবেন। আর তো তিনি কোন মহাভারত করেননি,যার জন্য উনাকে ফাঁসি দেয়ার মত সাযা প্রযোয্য হয়? বর্তমান তাবলীগ এর
বিতর্ক ও মাও ফরিদ উদ্দিন সাহেবকে বাংলাদেশের তাবলীগের ৫ আলেমের একজন
করা নিয়ে তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে।
তাবলীগ এর এক ব্যক্তির ব্যপারে দেওবন্দের ফতোয়া:
দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া নিয়ে তারা ডিগবাজি শুরু করছে। অবশ্য আমি হতবাক হইনি কারণ এরা তো সেই স্বাধীন বাংলার ঘাতক সন্তান। এদের দ্বারা অসম্ভব কাজ সম্ভব হয়। দেওবন্দের ফতোয়া শুধু একজন ব্যক্তির উক্তি নিয়ে। ফতোয়ায়,বলা হয়েছে যে,দ্বীনের দাওয়াত শুধু তাবলীগ জামায়াতের মাধ্যমে হয় এমন নয়।আরোও অনেক পন্থা আছে।
এর দ্বারা তো এটি প্রমান হয়না যে তোমাদের জামাত দিয়ে দ্বীনের দাওয়াত হয়? আজ
নিজ স্বার্থের পক্ষে বলে দেওবন্দের ফতোয়াকে প্রচার করছ কিন্তু স্বার্থের বিরোদ্ধে যতটা এগুলো প্রচার করোনা কেনো? এর মানে যারে দেখতে নারী তার চরণ বাঁকা। তোমাদের জামাত দিয়ে দ্বীনের দওয়াত হবে এর আগে তোমরা সকল নিয়ম নীতি ইসলাহ করো।
ব্যক্তিগত ভাবে সকলে দ্বীনকে পালন করো। তোমাদের গডফাদারের মনগড়া ব্যাখ্যা
গুলো ঠিক কর।আমরা কোন মনগড়া ব্যখ্যা মেনে নেই না, সে আমাদেরই একজন
হউক না কেন।আমরা দলান্ধ নই।তোমরাই হলে দলান্ধ, নির্বোধ,নির্লজ্জ। তাবলীগ
তো তোমরা কোনকালেই সহ্য করতে পারো না। তাহলে আজ এত মাথা ব্যথা কিসের?
এটি যখন আমাদের ঘরের সন্তান করেছে ভুল শুদ্ধ দেখার তো আমরাই আছি।
আর রীতিমত দেখেই যাচ্ছি। ভুল হলে শুধরে দিচ্ছি। শুদ্ধ হলে এগিয়ে দিচ্ছি।তাহলে তোমাদের এত চিন্তা কিসের? হুম ঠিক আছে, মানবো তোমাদেরও অধিকার আছে
একজন মুসলিম হিসাবে কিন্তু নিজ স্বার্থ হাসিলের মাকসুদে কেন? এটি তো দ্বীনের স্বার্থে নয়, দলের স্বার্থে। নিজ দলের সাথে কম্পায়ার করে জনপ্রিয়তার জন্য করছ? নিসক
একটি দ্বীনি ফিরকাকে হেয় করে কেন নিজ দলকে হক্ব প্রমানের চেষ্টা করছ? দোয়া
করি আল্লাহ তোমাদদেরকে হেদাদায়াত দান করুন। বাংলাদেশে মাওঃ ফরিদ উদ্দিন সাহেবকে তাবলীগ জামাতের একজন করায় তোমাদের সমালোচনার কারণ আমার
বুঝে আসেনা? তিনি তো তাবলীগবিরোধি নন বরং এঘরেরই সন্তান। ঘরের সন্তান তো ঘরেরটা দেখবেই তাতে তোমাদের নাকগলানোর কি আছে? সব শেষ কথা আমার যেসব ভাই এসব নিয়ে সমালোচনা করছেন দয়া করে বন্ধ করুন। দ্বীনের এসব মেহনত সকল
বাধা থেকে মুক্ত হোক। উম্মাহর কাছে পৌছে যাক দ্বীনের আওয়াজ।দুনিয়ার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে যাক দ্বীনে ইসলাম। পুনশ্চঃ নিজের এবং সমালোচকদের ইসলাহের
জন্য এপ্রয়াস।