চাষাবাদ এর গুরুত্ব :
বর্গাচাষের বিধান ও শর্তাবলি চাষাবাদ করা বৈধ
হবে না। কেননা এর দ্বারা উদ্দেশ্য হাসিল হবে না।
দুই. ভূমি মালিক এবং চাষি উভয়ই চাষাবাদ এর চুক্তি সম্পাদন করার যোগ্য
সুতরাং পাগল, জ্ঞানহীন ও অবুঝ শিশুর সঙ্গে চুক্তি শুদ্ধ হবে না। এ শর্তটি বর্গাচাষের সঙ্গে খাস নয়, যেকোনো চুক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কেননা চুক্তি বিষয়টি সম্পাদনকারী যোগ্য না হলে কোনো চুক্তিই সহিহ হবে না।
তিন. বর্গা চাষাবাদ এর সময়সীমা উল্লেখ থাকতে হবে।কেননা এটি ভূমির মুনাফা অথবা চাষির মুনাফার ওপর একটি চুক্তি। আর সময়সীমা হলো সেই মুনাফার মাপকাঠি, যার দ্বারা নির্ধারিত মুনাফা সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়।
চার. চাষাবাদ এর জন্য বীজ কে দেবে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
বীজ কী হবে। তা কোন জাতের হবে। তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। কারণ বীজের নানাবিধ প্রকার রয়েছে। নিম্নমানের বীজের ফসল একরম আর উন্নত বীজের ফসল ভিন্ন হবে তা অনুমেয়। সে জন্য পূর্ব থেকেই তা উভয়ের মধ্যে স্পষ্ট হতে হবে, যাতে পরবর্ততী সময়ে কোনোরূপ ঝগড়া না হয়।
পাঁচ. যার পক্ষ থেকে বীজ সরবরাহ করা হবে না, তার অংশ কী পরিমাণ হবে,
তা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করতে হবে। কেননা সে তো শর্তের কারণেই তার অংশের হকদার হয়ে থাকে। তাই তার অংশটি জানা থাকা আবশ্যক।
ছয়. চাষির জন্য ভূমি মালিক কর্তৃক ভূমি সম্পূর্ণরূপে অবমুক্ত করে দেওয়া। তার পক্ষ থেকে কোনোরূপ প্রতিবন্ধকতা না থাকা। সুুতরাং যদি ভূমিতে মালিকের কর্মের শর্ত আরোপ করা হয়, তাহলে ভূমি অবমুক্ত না হওয়ার কারণে চুক্তি ফাসিদ হয়ে যাবে।
সাত. চাষাবাদ এর পর উৎপাদিত ফসলে উভয়ের শরিকানা থাকতে হবে।