১৪. ব্যাপক হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়া : ক্বিয়ামত এর একটি আলামত হল হত্যাকান্ড বৃদ্ধি পাওয়া। হত্যাযজ্ঞ এত বেড়ে
যাবে যে, পিতা ছেলেকে, ছেলে তার পিতাকে, চাচাকে ও প্রতিবেশীকে হত্যা করবে। এমনকি হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি
জানবে না হত্যাকান্ডের কারণ কি? রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ঐ সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ! মানুষের নিকট এমন
এক সময় আসবে, যখন হত্যাকারী জানবে না যে, কি অপরাধে সে হত্যা করেছে এবং নিহত ব্যক্তিও জানবে না যে, কি
অপরাধে সে নিহত হয়েছে’।
১৫. প্রাসাদে বিভিন্ন কারুকার্য করা : প্রাসাদে নকশা অংকন ক্বিয়ামতের আলামত। বর্তমানে ব্যাপকভাবে এটা চলছে।
প্রতিটি প্রাসাদ নির্মাণের সময় প্রতিযোগিতা করা হয়, কার বাড়ি কত নকশাদার হবে। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, ‘লোকেরা
নকশি কাঁথার মত কারুকার্যখচিত বাড়িঘর নির্মাণ না করা পর্যন্ত ক্বিয়ামত হবে না’।
১৬. ভূমিকম্প বৃদ্ধি : ক্বিয়ামতের অন্যতম আলামত হল ভূমিকম্পের ব্যাপকতা। এমন এক সময় আসবে যখন ঘন ঘন ভূমিকম্প হবে। তখন বুঝতে হবে যে, ক্বিয়ামত ঘনিয়ে এসেছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ক্বিয়ামত কায়েম হবে না, যে পর্যন্ত
না ইল্ম উঠিয়ে নেওয়া হবে এবং অধিক পরিমাণে ভূমিকম্প হবে’।
১৭. ব্যভিচার ও মদ্যপান বৃদ্ধি পাওয়া, ইলম উঠে যাওয়া ও অজ্ঞতা বেড়ে যাওয়া : ক্বিয়ামতের অন্যতম আলামত হল
সমাজে যেনা-ব্যভিচার ও মদ্যপান বেড়ে যাওয়া, জ্ঞাণীদের মৃত্যুর মাধ্যমে ইলম কমে যাওয়া ও মূর্খতা বৃদ্ধি পাওয়া।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ক্বিয়ামাতের কিছু আলামত হল ইলম হ্রাস পাবে, অজ্ঞতা প্রসার লাভ করবে, মদ্যপান বৃদ্ধি পাবে
এবং যেনা-ব্যভিচার বিস্তার লাভ করবে’।
১৮. আমানত নষ্ট হওয়া ও তা হৃদয় থেকে উঠে যাওয়া : ক্বিয়ামতের আলামত হল আমানতের খিয়ানত করা। আমানত
রক্ষা করা দ্বীনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কারণ যার আমানতদারী নেই তার দ্বীনই নেই। আমানত রক্ষার গুরুত্ব বুঝাতে
গিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা আমানত সমূহকে তার যথার্থ হকদারগণের নিকট পৌঁছে দাও’ (নিসা ৪/৫৮)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যখন আমানত বিনষ্ট হবে তখন ক্বিয়ামতের অপেক্ষা করবে।
ক্বিয়ামত এর অন্যতম নিদর্শণ:
১৯. পূর্ববর্তী জাতির রীতি-নীতির অনুকরণ করা : ইহুদী-খৃষ্টান ও মুশরিকদের অনুকরণে জীবন পরিচালনা করা
ক্বিয়ামতের অন্যতম আলামত। তাদের অনুকরণ চলা-ফেরা, আচার-আচরণ, পোশাক-পরিচ্ছদ, সংস্কৃতি, ইবাদত ইত্যাদি
ক্ষেত্রে হতে পারে। রাসূল (ছাঃ) সকল ক্ষেত্রে তাদের অনুকরণ করতে নিষেধ করেছেন এবং তাদের বিরোধিতা করতে
বলেছেন’। রাসূলের উক্ত নির্দেশের বিরুদ্ধাচরণই পাপ। এটা ক্বিয়ামতের অন্যতম আলামত, যা বর্তমানে মুসলমানদের
মধ্যে ব্যাপক প্রসার লাভ করছে।
২০. দাসী কর্তৃক মনিবকে জন্মদান, নগ্ন পা ওয়ালা, উলঙ্গ ও ছাগলের রাখালদের প্রাসাদ নিয়ে অহংকার করা : ক্বিয়ামতের অন্যতম আলামত হল দাসী কর্তৃক মুনিবকে জন্মদান করা এবং সমাজের নিম্নস্তরের লোকদের বড় বড় ভবন নির্মাণ নিয়ে অহংকার প্রকাশ করা, যা বর্তমানে চলছে। ক্বিয়ামতের পূর্বে অবস্থা এমন হবে যে, সমাজের গুরুত্বহীনরা হবে সমাজ নেতা। তারা সমাজের নেতৃত্ব দিবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন তুমি দেখবে দাসী তার মনিবকে জন্ম দিচ্ছে, ভবন নির্মাণকারীদের
দেখবে তাদের প্রাসাদ নিয়ে গর্ব করছে, ক্ষুধার্ত নগ্নপদ বিশিষ্ট রাখালেরা লোকদের নেতৃত্ব দিতে দেখবে, এটিই ক্বিয়ামতের আলামত’।
২১. পাতলা কাপড় পরিহিতা উলঙ্গ নারীদের আত্মপ্রকাশ : মুসলিম নারীদের বেপর্দা হওয়া ক্বিয়ামতের অন্যতম আলামত।
তারা ইহুদী-খৃষ্টান ও বিধর্মী নারীদের ন্যায় অর্ধনগ্ন হয়ে রাস্তা-ঘাটে, হাটে-বাযারে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলাফেরা করবে। যারা নিজেরা পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং দেহ প্রদর্শনের মাধ্যমে পুরুষদেরকে আকৃষ্ট করবে। এর ফলে সমাজে ফিৎনা
ছড়িয়ে পড়বে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘শেষ যামানার আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু লোক হবে, যারা ঘরের মত জিনে
(মোটর গাড়ি)-তে সওয়ার হয়ে মসজিদের দরজায় নামবে (গাড়িতে করে ছালাত পড়তে আসবে)। তাদের মহিলারা হবে
অর্ধনগ্ন, যাদের মাথা (খোঁপা) বুখতী উটের হেলে পড়া কুঁজের মত হবে। তোমরা তাদেরকে অভিশাপ করো। কারণ তারা অভিশপ্ত। তোমাদের পরে কোন জাতি যদি থাকে তবে তোমাদের নারীরা তাদের নারীদের খেদমত করবে। যেমন পূর্বের
জাতির নারীরা তোমাদের খেদমত করেছিল’।
২২. সম্পদ বৃদ্ধি পাওয়াও ক্বিয়ামত এর অন্যতম আলামত:
ক্বিয়ামতের পূর্বে এমন সময় আসবে যখন লোকদের অভাব-অনটন দূর হয়ে যাবে। লোকেরা দান করার জন্য স্বর্ণ-রৌপ্য
ও নগদ অর্থ নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়বে। কিন্তু সে দান গ্রহণ করার মত লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। আবার কেউ বলবে, গতকাল দান করলে গ্রহণ করতাম, আজকে আমার কোন অভাব নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মানুষের এমন এক সময়
আসবে যখন স্বর্ণ ছাদাক্বা করার জন্য লোক ঘুরে বেড়াবে কিন্তু তা নেয়ার মতো কাউকে পাওয়া যাবে না’। সম্পদের পরিমাণ
এত বৃদ্ধি পাবে যে অন্যায়ভাবে সম্পদ অর্জনকারী আফসোস করবে। ’।
২৩. বিশেষ ব্যক্তিদের সালাম প্রদান, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, ব্যবসায় মহিলাদের অংশগ্রহণ : ক্বিয়ামতের আরো কিছু
আলামত হল ক্ষমতাশীল বা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দেখলে সালাম প্রদান করা, বাড়িতে বাড়িতে দোকান সৃষ্টি হওয়া ও নারীদের ব্যবসায় সম্পৃক্ত হওয়া। বর্তমান সময়ে উপরোক্ত বিষয়গুলো সমাজে প্রচলিত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ক্বিয়ামতের অন্যতম আলামত হল লোকেরা মসজিদের ভিতর দিয়ে অতিক্রম করবে অথচ তাতে দুরাক‘আত ছালাত আদায় করবে না। আর
লোকেরা কেবল পরিচিত ব্যক্তিদের সালাম প্রদান করবে’। অথচ সালামের আদান-প্রদান পরিচিত অপরিচিত সবার জন্য প্রযোজ্য। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ক্বিয়ামতের নিকটবর্তী কালে ব্যক্তি বিশেষকে নির্দিষ্ট করে সালাম দেয়ার প্রচলন হবে এবং
ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। ফলে স্বামীর ব্যবসায়ে স্ত্রীও সহযোগিতা করবে। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে। মিথ্যা
সাক্ষ্যদানের প্রচলন হবে, সত্য সাক্ষ্য গোপন করা হবে এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসার ঘটবে’।
২৪. অধিক বাজার সৃষ্টি হওয়া : ক্বিয়ামতের অন্যতম আলামত হল যেখানে-সেখানে বাজার সৃষ্টি হওয়া। ক্বিয়ামতের পূর্বে
এমন অবস্থা হবে যে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে দোকান থাকবে। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, ‘ক্বিয়ামত কায়েম হবে না, যতক্ষণ না
ফিৎনা প্রকাশ পাবে, মিথ্যাচার বৃদ্ধি পাবে, ঘনঘন বাজার সৃষ্টি হবে, সময় সংকুচিত হবে এবং হারজ বা হত্যাকান্ড বৃদ্ধি পাবে।
২৫. সময়-কাল সংক্ষিপ্ত হওয়া : ক্বিয়ামতের আলামত সময় দ্রুত চলে যাওয়া। সকাল হতে না হতেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসা।
অথবা সারাদিন কাজকর্ম করে কাজে বরকত না হওয়া। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যামানা পরস্পর নিকটবর্তী (সংকীর্ণ) না হওয়া
পর্যন্ত ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে না।
যালেম শাসকদের আবির্ভাব হওয়া:
২৬. মানুষকে প্রহারকারী লোকদের আবির্ভাব হওয়া : ক্বিয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে- যালেম শাসকদের আবির্ভাব।
যাদের সৈন্যরা সাধারণ মানুষকে চাবুক দ্বারা নির্যাতন করবে। এই আলামতটি বহুকাল পূর্বেই প্রকাশিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ) বলেন ‘অচিরেই দীর্ঘ হায়াত পেলে তুমি দেখতে পাবে এমন এক কওম, যাদের হাতে থাকবে গরুর লেজের ন্যায়
চাবুক। তাদের সকাল হবে আল্লাহর গযবের মধ্যে এবং তাদের সন্ধ্যা হবে আল্লাহর অসন্তুষ্টির মধ্যে’।
২৭. বাদ্যযন্ত্র ও গান বাজনার বিস্তৃতি লাভ : বাদ্যযন্ত্র ও গান-বাজনার প্রসার লাভ ক্বিয়ামতের অন্যতম আলামত। বর্তমানে
দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি অনুষ্ঠানে প্রথমে কুরআন তেলাওয়াত করার পর গান-বাজনা ও নৃত্য শুরু হয়। মুসলমানদের মাঝে
এই ব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে, যা ক্বিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার বড় প্রমাণ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে
অবশ্যই এমন কতগুলো দলের সৃষ্টি হবে, যারা ব্যভিচার, রেশমী কাপড়, মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল জ্ঞান করবে। তেমনি
এমন অনেক দল হবে, যারা পাহাড়ের ধারে বসবাস করবে, বিকাল বেলায় যখন তারা পশুপাল নিয়ে ফিরবে তখন তাদের
নিকট কোন অভাব নিয়ে ফকীর আসলে তারা বলবে, আগামী দিন সকালে তুমি আমাদের নিকট এসো। এদিকে রাতের অন্ধকারেই আল্লাহ তাদের ধ্বংস করে দিবেন। পর্বতটি ধ্বসিয়ে দিবেন, আর বাকী লোকদেরকে তিনি ক্বিয়ামতের দিন
পর্যন্ত বানর ও শূকর বানিয়ে রাখবেন।
২৮. গানের সূরে কুরআন তিলাওয়াত করা : গানের সূরে কুরআন তিলাওয়াত করা ক্বিয়ামতের আলামত। সুন্দর কণ্ঠে
কুরআন তিলাওয়াত করা উত্তম। তবে গানের সুরে তিলাওয়াত করা পাপ। রাসূল (ছাঃ) বলেন ‘তোমরা কুরআনকে
তোমাদের মধুর সুরে সুন্দর করে পড়বে। কারণ সুমিষ্ট স্বর কুরআনের সৌন্দর্য বাড়ায়’। কিন্তু কুরআন গানের সুরে
তিলাওয়াত করা ক্বিয়ামতের অন্যতম আলামত।
২৯. ক্বিয়ামত এর অন্যতম আলামত মসজিদকে রাস্তা হিসাবে ব্যবহার করা :
ক্বিয়ামতের পূর্বে এমন অবস্থা হবে যে বড় বড় মসজিদ নির্মাণ করা হবে এবং লোকেরা এর ভিতর দিয়ে অন্যত্র যাতায়াত
করবে। অথচ মসজিদকে রাস্তা হিসাবে ব্যবহার করা ইসলামী শরী‘আতে নিষেধ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা মসজিদকে
ছালাত আদায় ও যিকির-আযকার ব্যতীত রাস্তা হিসাবে গ্রহণ করবে না’। ‘ক্বিয়ামতের আলামত হল- নতুন চাঁদ বড় আকারে
দেখা যাবে। তখন বলা হবে এটি দু’দিনের চাঁদ। আর মসজিদসমূহকে রাস্তা হিসাবে ব্যবহার করা হবে এবং আকস্মিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাবে’।
৩০. আকস্মিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া : ক্বিয়ামতের অন্যতম আলামত হল, আকস্মিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। ক্বিয়ামতের পূর্বে কোন রোগ-ব্যাধি বা কোন কারণ ছাড়াই মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন,
‘ক্বিয়ামতের আলামত হল আকস্মিক মৃত্যু বৃদ্ধি পাওয়া’।
৩১. উম্মতের মধ্যে শিরকের প্রকাশ ও তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া : শিরক একটি মহাপাপ, যা আল্লাহ তা‘আলা তওবাহ
ছাড়া ক্ষমা করেন না’ (নিসা ৪/৪৮)। শিরক মুসলিম সমাজে ছড়িয়ে পড়া ক্বিয়ামতের আলামত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন
‘ক্বিয়ামত আসবে না, যে পর্যন্ত না আমার উম্মতের কিছু গোত্র মুশরিকদের সাথে মিলিত হবে এবং আমার উম্মতের কিছু
গোত্র মূর্তিপূজা করবে’।
৩২. মসজিদ চাকচিক্যময় করা ও তা নিয়ে গর্ব করা : মসজিদের সৌন্দর্য নিয়ে প্রতিযোগিতা করা ও এর কারুকার্য নিয়ে অহংকার করা ক্বিয়ামতের আলামত। এ কাজ এখন ব্যাপকহারে চলছে। রাসূল (ছাঃ) এসব করতে নিষেধ করেছেন এবং
সে বিষয়ে জাতিকে সতর্ক করেছেন। আনাস (রাঃ) বলেন ‘রাসূল (ছাঃ) মসজিদ নিয়ে গর্ব-অহংকার করতে নিষেধ করেছেন। অন্যত্র রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মসজিদ সমূহকে উচ্চ ও চাকচিক্যময় করে নির্মাণ করার জন্য আমি আদিষ্ট হইনি।
৩৩. ক্বিয়ামত এর পূর্বে মূর্খ ও অজ্ঞদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া:
এবং তাদের আধিপত্য বিস্তার লাভ করা : ক্বিয়ামতের পূর্বে সুশিক্ষার হার কমে যাবে। মূর্খদের দ্বারা সমাজ ভরে যাবে। আর
এই ধরনের অজ্ঞ ব্যক্তিরাই সমাজের নেতৃত্ব দিবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন ‘ক্বিয়ামতের পূর্বে হারজ অর্থাৎ হত্যাকান্ড শুরু হবে।
তখন ইল্ম বিলুপ্ত হবে এবং মূর্খতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে’। নিকৃষ্ট মানুষেরা সমাজের নেতা হবে।
৩৪. মূর্খ লোকদের নেতৃত্ব দান : সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব মূর্খ লোকদের হাতে চলে যাওয়া ক্বিয়ামতের অন্যতম আলামত। নবী করীম (ছাঃ) কা‘ব বিন ঊজরাকে বলেন, ‘আমি তোমার জন্য আল্লাহর নিকট মূর্খদের নেতৃত্ব থেকে আশ্রয়
প্রার্থনা করছি। তিনি বললেন, মূর্খদের নেতৃত্ব কি? রাসূল (ছাঃ) বললেন, আমার পরে এমন কিছু লোক নেতৃত্বে আসবে,
যারা আমার নির্দেশনা দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে না। আমার সুন্নাতকে বাস্তবায়ন করবে না। যারা তাদের মিথ্যাকে
সত্যায়ন করবে এবং তাদের অত্যাচারে সহায়তা করবে, এরা আমার দলভুক্ত নয় এবং আমিও তাদের দলভুক্ত নই’।
[চলবে]