এমএলএম বা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং

এমএলএম-এর ইতিহাস অনেক বেশি দিনের নয়। অর্ধশতাব্দীর কিছু বেশি এর বয়স। ইনসাইক্লোপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী
১৯৪৫ সাল থেকে এর যাত্রা শুরু। পৃথিবীর অনেক দেশেই এমএলএম ভিত্তিক কোম্পানি চালু হয়েছে। এর অধিকাংশগুলোই একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর বন্ধ হয়ে গেছে। আমেরিকাসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই আইন করে বন্ধ করা হয়েছে বহু
এমএলএম কোম্পানিকে। কিন্তু এতে থেমে যায়নি এ কারবারের আগ্রহী ব্যক্তিরা।

ঠিক এখন আমাদের দেশে এমএলএম যেরূপে প্রচলিত শুরুতে এমন ছিল না। তবে এর পুরান পদ্ধতিটা ঐ নামে আমাদের দেশে না থাকলেও ঐ পদ্ধতিটা ভিন্নভাবে প্রচলিত ছিল। আপনাদের কারো কারো হয়ত মনে আছে, এ দেশে একসময়
পোস্ট অফিসগুলোতে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে-বেনামে অপরিচিত জায়গা থেকে মানি অর্ডারে টাকা আসার হিড়িক পড়েছিল। প্রাপককে লিখে দেওয়া হত দুটি ঠিকানা এবং ঐ ঠিকানাগুলোতে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাঠানোর জন্য বলে দেওয়া হত।
যার মাধ্যমে বড় লাভ পাওয়ার আশ্বাস দেওয়া হত। প্রতারণার এই ফাঁদ ব্যাপক হওয়ার পর কর্তৃক্ষের টনক নড়ে এবং ধীরে
ধীরে তা বন্ধ হয়। যাই হোক, আমেরিকাতেও এর কাছাকাছি একটি কারবার পিরামিড স্কীম নামে শুরু হয়েছিল।
এটিই এমএলএম-এর সনাতনি পদ্ধতি।

পিরামিড স্কীম-এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:

টাকা দিয়ে সদস্যপদ খরিদ করা। একজন লোক নির্ধারিত ফী দিয়ে সদস্য হবে। এরপর সে আরো সদস্য বানাবে। এভাবে
নেট পদ্ধতিতে এগিয়ে যাবে এবং উপরওয়ালারা নীচেওয়ালাদের থেকে কমিশন পাবে। পিরামিড স্কীম কিছুদিন চলার
পর স্বাভাবিক নিয়মেই তা বন্ধ হয়ে যায়। যখন মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে তখন পিরামিড স্কীম আইন
করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমেরিকাতে আইন হয়েছে। আরো কিছু দেশেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এরপরও তারা থেমে থাকেনি। নতুনরূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। এমএলএম-এর বর্তমান পদ্ধতিটি (পণ্য বা সেবার পদ্ধতি)
শুরু হয়েছে বেশিদিন হয়নি। এর বয়স মোটামুটি হয়ত দুই দশকের বেশি হবে না।

এদেশে যখন তারা আসে তখন বেকার ও স্বল্প আয়ের লোকদের মধ্যে হিড়িক পড়ে গিয়েছিল এতে অংশগ্রহণ করার।
রাতারাতি বড় লোক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিল তারা। কিছু কিছু অবুঝ মাদরাসাছাত্র ও দ্বীনদার শ্রেণীর লোকও এ মিছিলে
যোগ দিয়েছিল। এমনি পরিস্থিতিতে দেশের দারুল ইফতাগুলোতে ব্যাপকভাবে মানুষ এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা শুরু করে।

বিষয়টি ছিল তখন নতুন। এ পদ্ধতিতে পরিচালিত কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসায়িক পলিসি বুঝানোর জন্য বিভিন্ন
সেমিনার ও লেকচারের আয়োজন করত। মানুষ তাতে ৫/-টাকা ফি দিয়ে অংশগ্রহণ করত। লেকচার ফি ৫/-টাকা।
গুলশান এলাকায় তাদের বক্তৃতা হত। সেখানে এ কারবারের উপকারিতা এবং এতে অংশগ্রহণ করে কিভাবে অল্প দিনে
অনেক টাকার মালিক হওয়া যায় তা বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে বুঝানো হত।

শুরুতে টংচেং ও জিজিয়ান এ দুটি কোম্পানি বেশ চলেছিল। টংচেং পানি বিশুদ্ধকরণ মেশিন বিক্রি করত। তারা যে
মেশিন বিক্রি করত ঐ মানের মেশিন বাইরে অর্ধেক দামে পাওয়া যেত। তবে তাদের মেশিনটি ছিল ভিন্ন নাম ও ভিন্ন
ব্র্যান্ডের। যা বাজারে নেই। এটি এমএলএম কোম্পানির একটি বিশেষ ব্যবসায়িক পলিসি। তারা এমন ব্র্যান্ডের পণ্য আনে,
যা বাজারে থাকে না। ফলে সাধারণ মানুষ এই নামে আর দামের তুলনা করতে পারে না।

এমএলএম বা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং সম্পর্কে প্রথম জিজ্ঞাসা:

প্রথম যখন এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হল বেফাকের মুফতী বোর্ডের নিকট। তারা দীর্ঘদিন আলোচনা-পর্যালোচনার পর
তাহকীক করে দলিলভিত্তিক সিদ্ধান্ত দিলেন যে, এটি বৈধ নয়। অতপর ফতোয়াটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় দেশের অন্যান্য
জেলার বড় বড় মাদরাসাগুলোতে। এবং প্রায় সকল বড় বড় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাতে সম্মতিসূচক স্বাক্ষর আসে।
ফতোয়া আসার কিছুদিনের মধ্যে কোম্পানি দুটি (টংচেং ও জিজিয়ান) বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তারা বসে থাকেনি। আবার
ভিন্ন নামে শুরু করার জন্য চেষ্টা আরম্ভ করে। তখন ফতোয়ার প্রভাব এখনের চেয়ে ভালো ছিল। ফলে এমএলএম
কারবারিগণ বাধ্য হয়ে মুফতীদের নিকট ও বিভিন্ন দারুল ইফতায় ছুটে এসেছিলেন। মোটকথা, ফতোয়া আসার কারণে কোম্পানি দুটি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তারা থেমে থাকেনি। অন্য নামে আরো কোম্পানি চালু করেছে। শুধু নামের পরিবর্তন
এবং আগের কোম্পানিগুলোতে যারা ছিলেন তাদের অনেকেই এ কোম্পানিগুলোতে যোগ দিয়েছেন। এটি এমএলএম কোম্পানির স্বভাবজাত ধর্ম। একটা বন্ধ হলে তারা ভিন্ন নামে আরেকটা চালু করে। আগের লোকেরাই নতুন নামে চালু করে। আমাদের দেশেও এখন এমনি একটি গ্রুপ অব কোম্পানিজ চালু আছে। দেশের আনাচে কানাচে বহু বছর মেয়াদী গাছ বিক্রয়ের ব্যবসাসহ বহুমুখী প্রোডাক্ট নিয়ে তারা এখন বড় একটি গ্রুপ।

অর্থনীতি বিষয়ে জড়িত হওয়ার আগে যাচাই-বাছাই করা, চিন্তা-ভাবনা করা এটাকে আমরা অনেকে দরকারি মনে করি না।  অথচ ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি, রাজনীতি এসব তো ইসলাম নামক বৃক্ষেরই বিভিন্ন শাখা। এগুলোকে দ্বীন/ইসলাম থেকে
ভিন্ন ভাবার কোনো সুযোগ নেই। এটা হল খৃস্টানদের বৈশিষ্ট্য। তারা মনে করে ধর্ম হল শুধু কিছু আচার-অনুষ্ঠানের নাম।
আর অন্যান্য বিষয়গুলো একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। এর সাথে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। খৃস্টানদের এই প্রভাবটা ধীরে
ধীরে মুসলমানদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়েছে।

এখন আমরাও যদি কোনো মুয়ামালায় জড়িত হওয়ার পূর্বে চিন্তা-ভাবনা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব না করি তাহলে
তো আমরাও তাদের মতো হয়ে গেলাম। মোটকথা, এসব প্রেক্ষাপটেই মুফতী বোর্ড ঢাকার পক্ষ থেকে সর্বপ্রথম এমএলএম ব্যবসার ব্যাপারে ফতোয়া দেওয়া হয়।এই ছিল তখনকার অভিজ্ঞতা যে, দ্বীনদার শ্রেণীর লোকেরা যাচাই-বাছাই না করেই
এতে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। এখন যত দিন যাচ্ছে এই অভিজ্ঞতা ততই বাড়ছে।

এমএলএম পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত পরিচয়:

এমএলএম এখন বেশ প্রসিদ্ধ একটি কারবার। অনেকেই এখন তা মোটামুটি চিনে। এরপরও প্রসঙ্গের টানে সংক্ষিপ্ত
পরিচয় তুলে ধরা দরকারী মনে হচ্ছে।

যাহোক, এমএলএম-এর ব্যাখ্যা এই “মাল্টি” অর্থ বহু, নানা। “লেভেল” অর্থ স্থর। “মার্কেটিং” অর্থ ক্রয়-বিক্রয়, বাজারে
বিক্রয়ের জন্য পণ্য ছাড়া। একক শব্দগুলি একত্রিত করলে অর্থ দাড়ায়, অনেক স্থর বিশিষ্ট বিপণন। এই অর্থ থেকেই এই ব্যবসার হাকীকত বুঝে আসে। যেমন:

ক. বহু স্তরবিশিষ্ট বিপণন মানে প্রথম ক্রয়বিক্রয়ের পরই কারবার শেষ হয় না; বরং সামনে বহু স্তরে এটি চলমান থাকবে।
খ. এখানে দুইটা জিনিস বা দুইটা পদবি একত্রে অর্জিত হয় ১. ক্রেতা ২. পরিবেশক। ওদের ফরমেই তা লেখা আছে।
দুনিয়ার অন্যান্য কারবারে কেনা শেষ হওয়ার পর কেবল একটি পদবি অর্জিত হয়। তা হল ক্রেতা এবং জিনিসও একটিই অর্জিত হয় তা হল পণ্য বা নির্ধারিত সেবা। কিন্তু এখানে পদবী দুইটি, জিনিসও দুইটি। একটি হল পণ্য আর অপরটি হল ডিস্ট্রিবিউটরশীপ বা পরিবেশক হওয়ার যোগ্যতা। যেমন-ট্রি প্লান্টেশন। আপনি দশ হাজার টাকা দিয়ে ১২টি গাছ ক্রয়
করলেন। এখানে আপনি একটি কিনলেন পণ্য। আরেকটি হল, উক্ত কোম্পানি থেকে কমিশন লাভের যোগ্যতা। আপনি
আরো লোক যোগাড় করে দিতে পারলে কমিশন পাবেন। এতে বুঝা গেল, বিক্রয়টা এক স্তরে শেষ হয় না; বরং আপনার
মাধ্যমে এবং আপনার পরবর্তী লোকদের মাধ্যমে তা বহু স্তরে বিস্তৃত হয়।গ. আপনি কোম্পানিকে যে অর্থ দিয়ে তার
সাথে জড়িত হলেন এর বিনিময়ে আপনি পাচ্ছেন দুইটি বিষয় : ১. পণ্য। তা হয়ত ক্ষেত্রবিশেষে নগদে পেয়ে যাবেন।
২. এটি থাকবে বাকি। যার নাম পরিবেশক হয়ে কমিশন প্রাপ্তি। আপনি নিজে অন্য ক্রেতা জোগাড় করে দিলে এবং সে
ক্রেতারা আরো লোকজন নিয়ে আসলে আপনি পাবেন নির্ধারিত হারে কমিশন। এটিকে নেটওয়ার্ক সিস্টেমও বলা হয়ে
থাকে। তাই এমএলএম  কোম্পানিগুলোর কারবারকে নেটওয়ার্ক বিজনেস বলেও আখ্যা দেওয়া হয়।

এমএলএম এর একটি সহজ উদাহরণ:

বিষয়টিকে সহজ করার জন্য একটি উদাহরণ টানা যেতে পারে। যেমন-ধরে নেওয়া যাক, গাছপালা লিমিটেড নামক একটি কোম্পানি ৫ বছর পর লাভসহ মূল দেওয়ার শর্তে ৫০০০/-টাকার বিনিময়ে ‘ক’ নামক ব্যক্তিকে ক্রেতা-পরিবেশক বানাল। এরপর ক নামক লোকটি উক্ত শর্তে খ ও গ নামক আরো দুজনকে কোম্পানির ক্রেতা-পরিবেশক বানাল। অতপর খ ও গ প্রত্যেকে কোম্পানিতে ভেড়াল যথাক্রমে ঘ, ঙ এবং চ, ছ কে। এভাবে প্রত্যেক নতুন ব্যক্তি দুজন করে ক্রেতা কোম্পানিতে
নিয়ে আসবে। উপরোক্ত উদাহরণে ক নামক ব্যক্তি যেমনিভাবে খ ও গ নামক ব্যক্তিকে জোগাড় করার জন্য কোম্পানি
থেকে কমিশন পাবে তেমনি স্থলবর্তী প্রত্যেক ব্যক্তি তথা ঘ, ঙ, চ, ছ সহ আরো যতজন এ লাইন দুটিতে নীচের দিকে যোগ
হবে তাদের প্রত্যেকের অন্তর্ভুক্তির জন্য কোম্পানি তাকে বোনাস টাকা প্রদান করবে। এভাবে আপ লেভেল বা উপরের
স্তরের ক্রেতাগণ ডাউন লেভেল তথা নিম্নস্তরের পরিবেশকদের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে থাকবে এবং ঐ সব কোম্পানির ঘোষণা অনুযায়ী তারা বড় বড় পদবি অর্জন করে দেশ-বিদেশে ভ্রমণসহ বহুবিধ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে থাকবে।
আপনারা হয়ত অবগত আছেন যে, এ জাতীয় লোভনীয় অফারগুলোই এদেশের অনেক স্বল্প আয়ী বা বেকার লোকজনকে এমএলএম কোম্পানিগুলোর অফিসমুখী করে থাকে।

এতক্ষণ আলোচনা থেকে আমরা বুঝলাম যে, মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানিগুলোতে শুরুতে যে লোকেরা জড়িত
হয় তারাই লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। পক্ষান্তরে ডাউন লেভেল বা পরের দিকে আসা সদস্যগণ ক্ষতিগ্রস্ত  হয়ে
থাকে এবং একটি পর্যায়ে গিয়ে ঐ কোম্পানি বা তার নির্দিষ্ট প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যেতে বাধ্য হয়। ভারতের গবেষকগণ হিসাব
করে দেখিয়েছেন যে, তাদের মতো পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশেও যদি ১জন ক্রেতা-পরিবেশক গড়ে ১০জন করে লোক কোম্পানিতে যোগ করায় এবং যদি পুরো দেশের ১০০ কোটি মানুষ এর সাথে যুক্ত হয় (যা অসম্ভব) তবুও
কারবারটি দশম স্তরে গিয়ে বন্ধ হয়ে যেতে বাধ্য। বিষয়টি এভাবে বুঝা যেতে পারে। প্রথমজন ১০ জনকে, তারা প্রত্যেকে ১০
জন করে ১০০ জন, এরা সকলেই ১০ জন করে ১০০০। এভাবে দশম স্তরে গিয়ে হয়ে যাবে ১০০ কোটি।

এমএলএম ব্যবসার ধরন ও প্রকৃতি ভিন্ন:

এতক্ষণের বক্তব্য থেকে আমরা বুঝলাম যে, সাধারণ ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে এমএলএম ব্যবসার ধরন ও প্রকৃতি সম্পূর্ণ
ভিন্ন। কারণ :

* সাধারণ ব্যবসায় বিক্রেতার কাজ থাকে পণ্য বিক্রয় করা। আর এমএলএম কোম্পানি সদস্য বানানোর কাজে ব্যস্ত থাকে।
* সাধারণ ব্যবসায় ক্রেতার মূল উদ্দেশ্য থাকে পণ্য। তাই পণ্যের গুণগত মান ও মূল্যের বিষয়টি তার কাছে মুখ্য থাকে। অন্যদিকে এমএলএম এর ক্রেতাগণের কাছে মুখ্য বিষয় হচ্ছে ডিস্ট্রিবিউশনশীপ বা পরিবেশক হওয়া। পরিবেশক হয়ে
কমিশন ও বোনাস অর্জন করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য থাকে। পণ্য তারা কেনে একপ্রকার বাধ্য হয়েই। তাই এর
গুণগত মান ও মূল্যটি মুখ্য কোনো বিষয় নয় তাদের কাছে। এজন্যই যে গাছ কোম্পানির বক্তব্য অনুযায়ী এখনো চারা,
যা তারা কখনো দেখেইনি এবং ভবিষ্যতেও কোম্পানি দেখাতে অনাগ্রহী সে গাছগুলোই তারা খরিদ করছে চড়া মূল্যে।
* খুব স্বাভাবিক কারণেই চাহিদা ও যোগানের সামঞ্জস্য নষ্ট হওয়ায় এ কারবারের নীচের দিকের (ডাউন লেভেল) লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাধ্য। সাধারণ বেচা-কেনায় এমনটির চিন্তাও করা হয় না। এ পর্যন্ত এমএলএম কারবারের সংক্ষিপ্ত একটি
চিত্র তুলে ধরা হল। এখন আমরা এর শরঈ বিশ্লেষণ ও হুকুম নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।

(চলবে ইনশাআল্লাহ)